সারোয়ার হোসেন, রাজশাহী তানোর-গোদাগাড়ী) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর আমলের চোখে পড়ার মত দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আসার পরে তার সর্বচ্চ মেধা যোগ্যতা দিয়ে তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার জনসাধারণের মানোন্নয়নের জন্য যে উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম করেছেন তা সবগুলোই চোখে পড়ার মত উন্নয়ন করেছেন তিনি।
তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলা সরেজমিনে ঘুরলেই দেখা যাবে এসব উন্নয়ন মূলক কাজ। ২০০৮সালে প্রথমবার এমপি হিসেবে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী তার সর্বচ্চ মেধা যোগ্যতা সৎ মনোবল দিয়ে তানোর গোদাগাড়ী উপজেলার উন্নয়ন করে চলেছেন। যা এখনো চলমান রয়েছে উন্নয়ন মূলক কাজকর্ম। একসময় তানোর গোদাগাড়ী উপজেলার যতগুলো প্রাথমিক বিদ্যালয়, উচ্চ বিদ্যালয়,মাদ্রাসা, কলেজ ছিলো তা সবগুলোই মাটি ও আধাপাকা ছিলো। ছিলোনা এমপিও ভুক্ত প্রায় স্কুল কলেজ মাদ্রাসা। ছিলোনা স্বাস্থ্যসেবার পাশাপাশি তেমন যোগাযোগ ব্যবস্থা।
ফলে, দুই উপজেলার মানুষকে পোহাতে হয়েছে চরম ভোগান্তি। কিন্তু এখন আর ভোগান্তি পোহাতে হয়না দুই উপজেলার জনসাধারণকে। তানোর-গোদাগাড়ী আসনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে আওয়ামী লীগের এমপি হিসেবে ওমর ফারুক চৌধুরী তার অবিরত প্রচেষ্টায় আজ তানোর-গোদাগাড়ীকে একটি মডেল উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলেছেন। এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী একযোগে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার কাছে থেকে অবহেলিত তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার মানোন্নয়ন করতে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন দুই উপজেলার যত স্কুল কলেজ মাদ্রাসা আছে তা সবগুলোই মাটির স্কুল কলেজ মাদ্রাসা থেকে দৃশ্যমান চারতলা,পাঁচতলা পাকাঁ ভবন নির্মাণ করেছেন।
স্বাস্থ্যসেবার মান বাড়াতে ৫০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নবনির্মিত নতুন ভবন তৈরি করে করা হয়েছে ২৫০শয্যার হাসপাতাল। পাশাপাশি ইউনিয়ন বাসীর দ্রুত স্বাস্থ্যসেবার কথা ভেবে এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিকের ব্যবস্থা করেছেন। এতে গরীব অসহায় দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী মহিলারা বিনামূল্যে বাচ্চা ডেলিভারি করা সহ ছোট খাটো সমস্যা হলে হয়রানি হয়ে সরকারি হাসপাতালে না গিয়ে বাড়ির কাছে কমিউনিটি ক্লিনিকে দ্রুত সেবা গ্রহণ করতে পারছেন তাঁরা। শুধু তাই না, তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার সদর রাস্তা ঘাট থেকে শুরু করে যত পাড়া মহল্লার ভিতরের কাঁচা রাস্তা ছিলো সবগুলোই পাকাঁ রাস্তায় রুপান্তর করেছেন এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী।
এছাড়াও এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী রাজনীতিতে প্রবেশ করার পর থেকে তানোর-গোদাগাড়ী আওয়ামী লীগের সংগঠন পরিচালনা করে সুসংগঠিত শক্তিশালী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে দাঁড় করিয়েছেন। ফলে, এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর উপর খুশি হয়ে প্রথমে তাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন। তার পরবর্তীতে এমপিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী হিসেবেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়ার পাশাপাশি কৃষিতে সমৃদ্ধি বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় কৃষি পদক।
যা এখন পর্যন্ত কোন নেতাকে এমন সম্মানজনিত পদ পদবি দেয়া হয়নি। অথচ আজ এমপি ওমর ফারুক চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে তার নির্বাচনী এলাকায় অপপ্রচার করা হচ্ছে এমপি রাজাকারের সন্তান, এমপি মাদকের পৃষ্ঠপোষকতার গডফাদার, এমপির নিজ এলাকায় কোন জনপ্রিয়তা নাই, বর্তমানে এমপি জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তার কোন ক্ষমতা নাই। এমপি কোন উন্নয়ন করতে পারেনি বলে গীবত চালানো হচ্ছে। এতে করে অপপ্রচার কারিদের বিরুদ্ধে জবাব দিতে সম্মুখে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন তানোর-গোদাগাড়ীর নেতাকর্মী সহ তৃণমূল জনসাধারণ। তৃণমূল জনসাধারণ বলছে এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে তাদের হেতু কি? আর তানোর-গোদাগাড়ী উপজেলার এতো উন্নয়ন করার পরেও কেনই বা এমপির বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে চক্রটি? জানতে চায় তানোর-গোদাগাড়ীর উপজেলার আপামর জনসাধারণ।