ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য পরিক্ষা ছাড়াই পশু জবাই,স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে সাধারণ মানুষ
এম এ সালাম রুবেল ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধিঃ
ঠাকুরগাঁও জেলার সর্বত পরিক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে বিক্রি হচ্ছে মাংস। আর স্বাস্থ্য বিধি না মেনে চলছে যত্রতত্র পশু জবাই। স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে জেলার মানুষ। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের নির্দেশনা থাকার সত্যেও স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে বিক্রি হচ্ছে মাংস।
জানা যায়, জেলার পৌর শহরের কালিবাড়ি বাজার,গুধুলী বাজার, ঠাকুরগাঁও রোড, আট গ্যালারী, বিসিক মোড়সহ জেলার প্রত্যেক গ্রাম গঞ্জের হাট বাজার গুলোতে গরু ছাগল, ভেড়া, মহিষ অবাধে জবাই করার আগে কোন স্বাস্থ্য পরিক্ষা না করেই জবাই করে মাংস বিক্রি করছে দেধারছে।
আজ শনিবার (১৪ নভেম্বর) সকালে সরেজমিনে জেলা সদরের একমাত্র কশাইখানায় গিয়ে দেখা যায়, অস্বাস্থ্যকর নোংরা পরিবেশে পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা ছাড়াই পশু জবাই করে মাংস তৈরির কাজে ব্যস্ত কশাইরা। পশু জবাইয়ের রেজিস্টার খাতা দেখতে চাইলে তারা খাতাটি সরিয়ে ফেলে বলেন খাতা দেখা পৌর সচীব মোঃ রাশেদুর রহমানের নিষেধ আছে বলে জানান। আজ কোন ডাক্তার পশুর স্বাস্থ্য পরিক্ষা করেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন সৈয়দ নামের এক পশুর ডাক্তার নিয়মিত আসতেন কিন্তু তিনি তিন মাস আগে পা ভেঙে অসুস্থ্য হওয়ার পর আর আসেন না।
তাই স্বাস্থ্য পরিক্ষা ছাড়াই চলতে পশুর জবাই ও মাংস বিক্রি। গত ৯ অক্টোবর ও ১ নভেম্বর পশু জবাইয়ের রেজিস্টার খাতায় দেখা যায় পশু ডাক্তারের সাক্ষর রয়েছে, সাক্ষারকৃত ডাক্তারের নাম জানত চাইলে এর সদ উত্তর দিয়ে পারেননি কেউ।
অপর দিকে যেখানে তিন মাস যাবত ডাক্তার আসেন না সেখানে রেজিস্টার খাতায় কার সাক্ষর? এর উত্তর জানতে চাইলে পৌরসভার সচীব মোঃ রাশেদুর রহমানকে দেখিয়ে দেয়।
এ ব্যাপারে পৌরসভার সচীব মোঃ রাশেদুর রহমান জানান, আমাদের পশু ডাক্তার নেই, তবে আমরা চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে আছি। এবিষয়ে আমি মেয়রের সাথে কথা বলেছি।
সদর উপজেলার রুহিয়া থানাধীন পাটিয়াডাঙ্গী বাজারে অসুস্থ্য রোগা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির অভিযোগ ওঠে। পরে স্থানীয়দের চাপে জবাই করা খাদ্য অনুপোযগী মাংস মাটিতে পুতে ফেলে। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, বেশির ভাগ রোগাক্রান্ত কুকুর কামরানো পশু বিভিন্ন এলাকা থেকে কম দামে কিনে জবাই করে মাংস বিক্রি করছেন কসাইরা। এগুলো রাতেই জবাই করে বিভিন্ন এলাকার পাইকারি মাংস বিক্রেতাদের কাছে পাঠিয়ে দেয় তারা।
স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর পশু জবাই করার বিষয়ে নাম না প্রকাশের সত্যে এক কশাইরা বলেন, শুনেছি পশু হাসপাতালের ডাক্তাররা গরু ছাগল জবাই করার আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন, কিন্তু আমাদের এখানে কোন ডাক্তার আসে না।
পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ আলতাফ হোসেনের সাথে কথা চেষ্টা করলে তিনি কথা বলতে রাজী হননি।
তবে এ ব্যাপারে জেলার সিভিল সার্জন ড. মাহাফুজার রহমান সরকার বলেন, অসুস্থ্য গরুর মাংস খাওয়া অবশ্যই স্বাস্থ্যঝুঁকি। এবিষয়ে আমরা আপনার মাধ্যমে অবগত হলাম। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরকে বলব ব্যবস্থা নিতে।