চরফ্যাশন (ভোলা) প্রতিনিধি।। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানার চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্রের অপরিচ্ছন্ন শয্যার হাল বেহালের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রুগী ও রুগীর পরিবার সদস্যদের সাথে বিভিন্ন সময়ে অসাদচরন করে আসছে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের কর্তব্যরত নার্স ও স্টাফরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দা মনির হোসেন, শামছুদ্দিন সহ আরো অনেকে জোড়ালো ভাবে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন। মনির বলেন রুগী দেখলে নার্স ও স্টাফরা বিরক্ত হয়ে অসাদচরন করে এবং অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দিয়ে থাকে। তবে গণস্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের শুরুর দিকে চিকিৎসার মান, ডাক্তার উপস্থিতি সহ সব কিছু ঠিকঠাক থাকলেও পরবর্তীতে চিকিৎসার মান সহ সঠিক কোন কিছুই ধরে রাখতে পারেনি বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। এর আগে চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারনে গণস্বাস্থ্য পাঠশালায় পড়ুয়া শিশু ছাত্র হোসেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারায়। জানা যায়, ২০১৫শালে ভবনটির ছাদে ঝুলন্ত বৈদ্যুতিক তারের সাথে এই দূর্ঘটনা ঘটে। শিশু হোসেনের দূর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। উপকূলীয় নদী ঘেষা ওই গণস্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্রটি ১৯৯৩ শালে স্থাপিত হয়। ১৯৯১ সালে চরফ্যাশন উপকূলীয় বাসীর উপড়ে আঘাত হানা আলোচিত ঘূর্ণিঝড়ের পর অস্থায়ীভাবে গণস্বাস্থ্য চিকিৎসা সেবা চালু করে সংস্থাটি। দক্ষিণ আইচা থানা থেকে চরফ্যাশন উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দূরত্ব প্রায় ২৩কিলোমিটার। এছাড়া মাত্র এক কিলোমিটার দূরুত্বে দক্ষিণ আইচা সৌদি সাহায্য পূষ্ট উন্নত মানের সকল যন্ত্রপাতি সম্পন্ন ২০শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল থাকলেও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সূ-দৃষ্টির অভাবে হাসপাতালটি অযত্নে অবহেলায় দ্বীর্ঘ দুই যুগ পড়ে আছে। দক্ষিন আইচা থানা এলাকার নিম্নমধ্যবিত্ত, গরিব অসহায় রোগী প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা নেয়ার জন্য নিকটে থাকা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসে। রোগীর অবস্থা নির্ণয় ও চিকিৎসা বিবেচনায় প্রয়োজনবোধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চরফ্যাশন বা জেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রেফার করে থাকেন কর্তব্যরত ডাক্তারগন। জানা যায় গণস্বাস্থ্য মাঠ জরিপের মাধ্যমে পরিবার গুলোর আর্থীক অনটন ও স্বচ্ছতা বুঝে “ক” থেকে “ঙ” শ্রেনীভূক্ত আকারে চিকিৎসা বীমা বহি প্রদান করে থাকে। শ্রেনী অনুযায়ী চিকিৎসার জন্য ভর্তি ফি, ডাক্তার ভিজিট ও সেবার মূল্য সুবিধা পেয়ে থাকে রোগী। তবে ঔষধের সঠিক মূল্য সকলকে প্রদান করতে হয় এবং প্রতিদিন ২থেকে ৩জন এমবিবিএস ডাক্তার উপস্থিত থাকে বলে চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য সূত্র জানায়। চরকচ্ছপিয়া গণস্বাস্থ্য চিকিৎসা কেন্দ্রের শয্যা’র হাল-বেহাল! এ ব্যাপারে গণস্বাস্থ্যটির দায়িত্বে থাকা ইনচার্জ বিকাশ মজুমদারের কাছে জানতে চাহিলে তিনি জানান ভাইরাল হওয়া শয্যার ছবির ব্যাপারে তিনি কিছুই জানেন না এবং উপজেলায় আওতাধীন অন্যান্য চিকিৎসা কেন্দ্র গুলো থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসা ও পরিবেশ ভালো বলে তিনি দাবী করেন। রুগী ও রুগীর পরিবার সদস্যদের সাথে স্টাফদের অসাদচরনের অভিযোগের ব্যাপারে অনেক সময় রুগীর পরিবার এসেই তারাহুরা করতে থাকে। নিয়মতান্ত্রিক রুগী ভর্তি বা ডাক্তার দেখাতে যে সময়টুকু অপেক্ষা করতে হয় তা করতে চায়না, এক্ষেত্রে কিছু বাকবিতন্ডা হতে পারে বলে বিকাশ মজুমদার জানান।