টাঙ্গাইলের গোপালপুর পৌর নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত মো. খলিল এর হত্যাকারিদের গ্রেফতারের দাবিতে আজ শনিবার ডুবাইল বাসষ্ট্যান্ডে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।
ইঞ্জিনিয়ার কে এম গিয়াস উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ডুবাইল আদর্শ গণ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বদিউজ্জামান শিকদার, আওয়ামীলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম রঞ্জু, উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি মানিক হাসান মিলু, শহর যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান টগর, সম্পাদক রাসেল কবীর, ছাত্রলীগের আহবায়ক শফিকুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল হোসাইন এবং নিহতের পিতা নাসিম উদ্দীন।
নিহত খলিলের পিতার অভিযোগ, গত ৮ই ফেব্রুয়ারি খলিল চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের হাতে খুন হন। ওই দিন তিনি খুনের সাথে জড়িত আসামীদের নামধাম উল্লেখ করে গোপালপুর থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে থানা পুলিশ আসামীদের নাম নিয়ে খুনের মামলা নিতে অস্বীকার করেন। পরের দিন ৯ ফেব্রুয়ারি থানা পুলিশ অজ্ঞাতনামাদের আসামী দেখিয়ে থানায় খুনের মামলা নেন।
এমতাবস্থায় গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিহতের পিতা নাসিম উদ্দিন টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে খুনের সাথে জড়িত থাকার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে ২০ জন আসামীর নাম উল্লেখ করে খুনের মামলা রেকর্ডের আবেদন জানান। আর্জির প্রেক্ষিত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট মো. শামসুল আলম ফৌজদারী কার্যবিধির ২০০ ধারার বিধানমতে বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদালত এক আদেশনামায় ওই খুনের ঘটনায় থানায় কোন মামলা দায়ের হয়েছে কিনা এবং সেই বিষয়ে মামলার সর্বশেষ অবস্থা প্রতিবেদন আকারে জানানোর জন্য গোপালপুর থানা অফিসার ইনচার্জকে আগামী ২৩ মার্চ সময়সীমা নির্ধারন করে দেন।
নিহতের পিতার অভিযোগ, চিহ্নিত খুনিরা এখন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে।
গোপালপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, আদালতের নির্দেশ মোতাবেক মামলার সর্বশেষ অবস্থা আদালতে প্রতিবেদন আকারে জানানো হয়েছে। তবে আইনগত কারণে একই খুনের ঘটনায় পৃথক দুই মামলা হবেনা। অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানা পুলিশ যে খুনের মামলা নিয়েছে সেটির সাথে আদালত বাদীর দায়ের করা হলফনামা অভিযোগ আকারে সংযুক্ত করে নেয়া হবে। এখন মামলার তদন্ত চলছে। আসামী গ্রেফতারের অভিযানও চলছে। ইতিমধ্যে নজরুল নামক এক আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রকৃত খুনিদের কাউকে ছাড় দেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।