জেমস আব্দুর রহিম রানা, স্টাফ রিপোর্টারঃ যশোরের মণিরামপুর-কপালিয়া মেইন সড়কের নেহালপুর বাজারে জনচলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। ২১ কিলোমিটারের মেইন সড়কটি গত দুই বছর আগে প্রশস্থ ও পুনঃ নির্মাণ করার জন্য উদ্বোধন করা হয়। অভিযোগ রয়েছে উদ্বোধনের দু’বছর অতিবাহিত হলেও অদ্যবদি তার নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। বাজারের মূল অংশের কাজটি পড়ে থাকায় জনদূর্ভোগ চরমে পৌছিয়েছে। সরেজমিনে জানাযায়, মণিরামপুর -টু- কপালিয়া ভাইয়া নেহালপুর মেইন সড়কটি অধিকাংশ জায়গার কালবার্ট, ব্রীজ এবং পিচের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। কিন্তু নেহালপুর বাজারের মূল অংশ এখনও পড়ে রয়েছে। রাস্তার মধ্য অংশের মাটি কেটে দু’ধারে সাইড উঁচু করণ এবং সাইড বাঁধা হয়েছে। ফলে বর্তমান বর্ষা মৌসুমে রাস্তার উপর জমে থাকা পানির উপর দিয়ে ভারি যানবাহন চলাচল করে বড় বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। রাস্তার মূল অংশের সাইডে রাখা মাটি এবং পড়ে থাকা জায়গাগুলোও বিভিন্ন দোকানিরা দখলে নিয়েছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে রাস্তার ধারে পড়ে থাকা খালি যায়গায় বাজার ব্যবসায়ীরা বর্জ্য জিনিসপত্র রাখার কাজে ব্যবহার করছে। জনগুরুত্বপূর্ণ এ মেইন সড়কটি বর্তমানে জনচলাচলে সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে জনদূর্ভোগ চরমে পৌছিয়েছে। জানাগেছে, সোমবার এবং বৃহস্পতিবার সপ্তাহে দুইদিন এ বাজারে হাট বসে। মণিরামপুরের পূর্বাঞ্চলের সর্ববৃহৎ হাট-বাজার এটি। সেক্ষেত্রেও হাটের দিনে বিভিন্ন ব্যবসায়ী, ক্রেতা-বিক্রেতা এবং পথচারীদের সীমাহিন দূর্ভোগ লাঘবের অন্ত নেই। রাস্তার দু’ধারে দখলে থাকা জায়গাটি উচ্ছেদ এবং মূল অংশ পিচ/ঢালায়ের কাজটি অতিদ্রুত শেষ নামানেরা দাবি জানিয়েছেন। নেহালপুর বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর শরিফ অভিযোগ করে বলেন, একমাত্র ঠিকাদারের উদসিনতার কারনেই বাজারের ব্যবসায়ীরা এবং পথচারীরা চরম দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন। শুকনো মৌসুমে রাস্তাটির নির্মাণ কাজ যদি ঠিকাদার শেষ নামাতো তাহলে আজ ভরাবৃষ্টির মৌসুমে জনদূর্ভোগ পোহাতে হতোনা। তিনি আরও বলেন, বাজারের পশ্চিম মাথায় শ্রীনদীর উপর একটি ব্রীজ নির্মাণ হওয়ার প্রকল্প থাকলেও অদ্যবদি তার কাজ শুরু করা হয়নি। স্থানীয় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও ইউপি সদস্য কামরুজ্জামান কামরুল বলেন, রাস্তাটি বর্তমান যে বেহালে রয়েছে তাতে সাধারণ পথচারীসহ বাজারে ব্যবসায়ীদের চলাচলে অনেক কষ্ট ভোগ করতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, এ ব্যাপারে ঠিকাদারের সাথে আলোচনা করা হয়েছে অতিদ্রুত কাজটি শেষ নামানোর জন্য। কিন্তু ঠিকাদাররা কোন কথায় কর্ণপাত করছেননা। উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার অফিস সূত্রে জানাযায়, রাস্তাটির পশ্চিম মাথায় শ্রীনদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের জন্য ১৭৫ মিটার জায়গা রেখে বাকি ১৫০ মিটার রাস্তা ঢালাই দেওয়া হবে। যে কাজটি অতিদ্রুত সমাপ্তি হওয়ার কথা। বৃষ্টি মৌসুমের আগেই কাজটি শেষ না হওয়ায় অফিস কর্তৃপক্ষও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। স্থানীয় নেহালপুর ইউপি চেয়ারম্যান নাজমুস সাদাত অবৈধ দখলের বিষয়ে বলেন, রাস্তাটির নির্মাণ কাজ শেষ হলেই উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পরামর্শ এবং নির্দেশনা মোতাবেক সকল অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, মণিরামপুর-কপালিয়া ভাইয়া নেহালপুর মেইন সড়কটি ২০২০ সালের ২০শে সেপ্টেম্বর প্রসস্থ ও পুনঃ নির্মাণ করার জন্য নেহালপুর-কালিবাড়ি বাজারে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য।