চিত্রনায়িকা পরীমনিকে ধর্ষণ, হত্যাচেষ্টা ও মাদক মামলায় জামিনের পর ব্যবসায়ী নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার (কেরানীগঞ্জ) থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় তিনি মুক্তি পান বলে গণমাধ্যমকে জানান কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ।
এর আগে বুধবার দুপুরে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম মাদক মামলায় নাসিরউদ্দিনকে জামিন দেন। এ মামলায় জামিনের পর নাসিরউদ্দিনের মুক্তিতে বাধা কেটে যায়।
গতকাল মঙ্গলবার পরীমনির মামলায় জামিন পেলেও তিনি মুক্তি পাননি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার থাকার কারণে। নাসিরের সঙ্গে তুহিন সিদ্দিকী অমিকে জামিন দিয়েছিলেন ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহজাদী তাহমীদা। তবে, মানবপাচার মামলায় তুহিন সিদ্দিকী অমিকে দুইদিনের রিমান্ডে দেন আদালত।
এদিকে বুধবার নাসির উদ্দিনের পাশাপাশি একই সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া তিন নারীকেও জামিন দেন আদালত।
এ ব্যাপারে আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) ফরিদ উদ্দিন বলেন, ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাসিরউদ্দিন মাহমুদসহ চার আসামি জামিনের আবেদন করলে বিচারক শুনানি শেষে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন- লিপি আক্তার, সুমি আক্তার ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধা। তবে লিপি, সুমি ও নাজমা বুধবার পর্যন্ত মুক্তি পাননি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. শরীফুল ইসলাম।
পরীমনির মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, গত ৯ জুন রাতে চিত্রনায়িকা পরীমনি সাভারের বিরুলিয়ার তুরাগ নদের তীরে অবস্থিত ঢাকা বোট ক্লাবে অমির সঙ্গে যান। সেখানে তাকে নেশাজাতীয় দ্রব্য পান করিয়ে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা করেন ক্লাবের কর্মকর্তা নাসিরউদ্দিন মাহমুদ। গত ১৩ জুন সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিচার চেয়ে একটি স্ট্যাটাস দেন পরীমনি। ফেসবুক স্ট্যাটাসের পর গত ১৩ জুন রাত ১০টার দিকে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। পরে সাভার মডেল থানা পুলিশ পরীমনির মামলা গ্রহণ করে। মামলার পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ নাসিরউদ্দিন মাহমুদ, অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর তাদের মাদক মামলায় রিমান্ডে নেয় পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টা মামলায় নাসির ও অমিকে রিমান্ডে নেয় সাভার মডেল থানার পুলিশ।