আদালতের নিষেধাজ্ঞা ও শালিসের রায় অমান্য করে সোনাগাজীর চরলামছি গ্রামের লোকমান ডাক্তার বাড়ীর আমির হোসেন গং এর রান্নাঘর ও গোয়ালঘর জবরদখল করেছে প্রতিপক্ষ মোঃ হানিফ গং।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়- প্রতিবেশী মুলকুত হাজী বাড়ীর প্রতিপক্ষ মোঃ হানিফ গং এর সাথে লোকমান ডাক্তার বাড়ীর আমির হোসেন গং এর বসতবাড়ির জায়গা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধকৃত ভূমি বিগত ২৩শে সেপ্টেম্বর ১৯৪১ ইং তারিখের রেজিস্ট্রিকৃত ৩০৭০ নং কবুলিয়ত মূলে মনির উদ্দিন হইতে বাদী নাছির উদ্দিনের উর্ধ্বতন মৌরশ লোকমান আহমদ গং তথা আমির হোসেন গং বন্দোবস্ত সূত্রে মালিক ও দখলদার হন। লোকমান আহমদ গং ওয়ারিশদের নামে (চরলামছি ডুব্বা মোজা) বিএস ৩৭২/১৭৬/৫১/ ৩৪৮/৩১৩ নং খতিয়ান হয়। লোকমান আহমদ গং ওয়ারিশগণ নিরঙ্কুশ মালিকানায় নালিশী সম্পত্তির খাজনাদি পরিশোধক্রমে ভোগ দখলে রয়েছেন।
গত ২৭শে সেপ্টেম্বর ২০১৯ ইং শুক্রবার, নালিশী ভূমিতে মোঃ হানিফ গং জোরপূর্বক প্রবেশ ও জবরদখল করে সীমানা খুঁটি লাগাইয়া কাঁটা তারের বেড়া দিতে চাইলে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এর প্রেক্ষিতে আমির হোসেন গং এর পক্ষে নাছির উদ্দিন বাদী হয়ে গত ২ অক্টোবর ২০১৯ ইং, ফৌঃ কাঃ ১৪৫ ধারায়; বিরোধকৃত ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখা ও প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ফেনীর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
পিটিশন মামলা নং ২৬৩/২০১৯ এর আলোকে বিজ্ঞ আদালত উভয়পক্ষকে বিরোধকৃত ভূমিতে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার অনুরোধ জানান। এমতাবস্থায় মোঃ হানিফ গং গত ১ অক্টোবর ২০২০ইং ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী নিয়ে, বিরোধকৃত ভূমিতে জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখে, এতে আমির হোসেন গং তাদের রান্নাঘর, বাথরুম, টিউবওয়েল ও গোয়ালঘরে যেতে পারছেননা, কার্যতঃ তারা অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছেন।
তাদের হামলার কারণে গ্রাম্য শালিস, থানা ও আদালতে ইতিপূর্বে আমির হোসেন গং একাধিকার মামলা করলেও কোন সুরাহা হয়নি।
গত ২৮শে মার্চ ২০২০ ইং উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারির প্রেক্ষিতে ৭টি সমাজের ১৪জন গ্রাম্য পঞ্চায়েত একত্র হয়ে উভয়পক্ষের বিরোধ নিরসনকল্পে একটি শালিসি সিদ্ধান্ত দিলেও মোঃ হানিফ গং তাহা অমান্য করে এবং মাতব্বরদের একটি ঘরে অবরুদ্ধ করে অপমান অপদস্থ করে। সর্বশেষ ১ অক্টোবর ২০২০ ইং স্থানীয় সন্ত্রাসীগণ সাথে নিয়ে জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া দিয়ে ঘেরা দেয়।
পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি মাজহার উল্যাহ জানান- মোঃ হানিফ গং গ্রাম্য শালিস অগ্রাহ্য করে আমির হোসেন গং এর জায়গায় জোরপূর্বক কাঁটা তারের বেড়া লাগিয়েছে।
অভিযুক্ত মোঃ হানিফ ও আলমগীর জানান- তারা রহিমউল্যাহ আমিনের দেওয়া নকশা অনুযায়ী কাঁটা তারের বেড়া দিয়েছে, আদালত কর্তৃক দেওয়া স্থিতাবস্থা ও গ্রাম্য শালিসে দেওয়া সিদ্ধান্তের বিষয়টি অস্বীকার করে এবং শালিসদার গণকে নিয়ে নানানরকম বিষেদাগার করেন।
আমির হোসেন গং বিরোধ নিরসনে থানা ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।