ঢাকা-গাজীপুর সড়ক পথে তীব্র যানজটে চরম ভোগান্তি পোহানো যাত্রীদের জন্য স্বস্তির খবর। তাদের দুর্ভোগ কমাতে রোববার থেকে এই রুটে চালু হচ্ছে তিন জোড়া বিশেষ ট্রেন। এতে পথে তিন-চার ঘণ্টার পরিবর্তে মাত্র এক ঘণ্টাতেই ঢাকা-গাজীপুর আসা-যাওয়া করতে পারবে যাত্রীরা। তবে তাদের একটাই দাবি, হুট করে যেন আবার বন্ধ না হয়ে যায় এ সেবা।
অনেক দিন ধরেই ঢাকা-গাজীপুর মহাসড়ক এই পথে চলাচল করা মানুষের কাছে একটি নিত্য ভোগান্তির নাম। সব সময়েই লেগে থাকে যানজট। গোটা সড়কে খানা-খন্দ আর বাস রেপিড ট্রানজিট- বিআরটি প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ধীরগতিতে সড়কই এখন এই সড়ক চলাচলের অনুপোযোগী। গাজীপুর থেকে ঢাকা পৌঁছাতেই দিনপার।
শুকনো মৌসুমে ধুলোবালির যন্ত্রনা। আর আবার যখন বর্ষাকাল আসে এই দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায় পথের যাত্রীদের। এবারের বর্ষা শুরু হতেই, বড় বড় খানাখন্দে বৃষ্টির পানি জমে গেছে। সড়কটিতে গাড়ি চলাচল করছে মন্থর গতিতে। এতে সড়কের দুই পাশেই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
তবে স্বস্তির খবর হলো, রোববার থেকে ঢাকা-জয়দেবপুরে চালু হচ্ছে বিশেষ ট্রেন। সকাল-বিকাল তুরাগ এক্সপ্রেস ট্রেন, টাঙ্গাইল ও কালিয়াকৈর কমিউটারের তিন জোড়া ট্রেন যাতায়াত করবে। এর মধ্যে তুরাগ এক্সপ্রেস ভোর পাঁচ টায় কমলাপুর থেকে ছেড়ে জয়দেবপুর পৌঁছাবে সকাল ছয়টায়। সেটিই আবার জয়দেবপুর থেকে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসবে সকাল ৭.১৫ মিনিটে।
দ্বিতীয়টি টাঙ্গাইল কমিউটার বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থেকে সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে ছেড়ে জয়দেবপুর পৌঁছুবে সকাল ৮টা ২০ মিনিটে। যেটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবে ৮টা ৩০ মিনিটে। এরপর কালিয়াকৈর কমিউটার ট্রেন কমলাপুর থেকে ছাড়বে দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে। সেটি আবার জয়দেবপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়বে বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে।
যাত্রীরা বলছেন, এটি নিঃসন্দেহে তাদের জন্য স্বস্তির খবর। তারা চান নতুন ট্রেন তিনটি যেন হঠাৎ বন্ধ না হয়ে যায়। কারণ, এমন নজির আগেও ঘটে ছিলো। তবে করোনাকালে এসব ট্রেন কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে রেল কর্তৃপক্ষে বলছে, যাত্রীরা সচেতন হলে সেটি সম্ভব হবে।